ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পুতিন, শি জিনপিং এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: ট্রাম্প সৌদি রাজতন্ত্রে একক ক্ষমতাধর মোহাম্মদ বিন সালমান ভেনেজুয়েলার নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জোট গড়ছে চীন দেশের হয়ে ম্যাচে খেলতে চাইছেন না মেসি! ভেজা চোখে ম্যানইউ ছাড়লেন অ্যান্টনি সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিলম্ব হলো বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে না পাকিস্তান বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কোহলি স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলবে ভারত পাকিস্তানের সাথে জয় পেলো আফগানরা বিসিবির নির্বাচনে মুখোমুখি বুলবুল-তামিম গত ৫ বছরে ৪৬৫ কোটি টাকা ভাগাভাগি পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় অদৃশ্য শক্তি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে-গয়েশ্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা নুরকে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশ ইসির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার নিষিদ্ধ আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার ডাকসুর প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি

শিক্ষায় ঘাটতি থাকলে চিকিৎসক তৈরি সম্ভব নয়

  • আপলোড সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিক্ষায় ঘাটতি থাকলে চিকিৎসক তৈরি সম্ভব নয় শিক্ষায় ঘাটতি

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় শিক্ষক সংকটের বিষয়টি বহুল আলোচিত। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থায় শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে, তা সহজেই অনুমেয়। চিকিৎসক তৈরির নামে জোড়াতালির পাঠদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে দেশে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে গত দেড় দশকে। এসব মেডিকেল কলেজে প্রতি বছর চার হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি খরচে পড়ার সুযোগ পান। এসব মেডিকেল কলেজে শিক্ষকদের পদের বড় একটি অংশই ফাঁকা। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ২০ থেকে ৬০টি আসন বাড়িয়ে এক হাজার ৩০টি আসন বৃদ্ধি করার অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমানে শিক্ষকের পদ রয়েছে পাঁচ হাজার ৬৬৮টি। যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে দুই হাজার ৫৪৪টি পদ। সে অনুযায়ী সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় মোট পদের বিপরীতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জানা যায়, কাক্সিক্ষত সময়ে পদোন্নতি না হওয়া এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ কম থাকায় অধিকাংশ চিকিৎসকের মেডিকেল কলেজের মৌলিক বিষয়গুলোর শিক্ষক হওয়ার আগ্রহ কম। অন্যদিকে বেসরকারি বহু মেডিকেল কলেজে পরিচালনা ব্যয় কমাতে কম জনবল দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা মেনে নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে যে সংকট তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে, তা হচ্ছে শিক্ষক-স্বল্পতা। এভাবে আর কত দিন চলবে? এই শিক্ষকের বিদ্যমান সংকট শিগগিরই দূর না হলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অনেক বিষয়ে জানার ঘাটতি নিয়েই শেষ হতে পারে পাঁচ বছরের শিক্ষাজীবন। ফলে এ খাতে বিদ্যমান সংকটগুলো দূর করতে হলে নতুন জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং তাদের পদোন্নতি নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে সেসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে অবকাঠামো সংকট দূর করতে হবে। এ অবস্থায় দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো চলতে পারে না। ফলে যেসব বিষয়কে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাণ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, সেসব বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে। তা না হলে মেডিকেল কলেজগুলোয় পাঠদান কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে আসবে এবং ভবিষ্যতে দক্ষ মেডিকেল শিক্ষক বা চিকিৎসক খুঁজে পাওয়াই কঠিন হতে পারে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স